১৯১৩ সনে টাংগাইল থানা থেকে দশটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় বাসাইল থানা। সেই সময়ের দশটি ইউনিয়নের নামঃ (১) বাসাইল, (২) হাবলা, (৩) কাঞ্চনপুর, (৪) কাশিল, (৫) কাউলজানী, (৬) ফুলকী,(৭) ডুবাইল, (৮) যাদবপুর, (৯) হাতিবান্ধা ও (১০) গজারিয়া। ১৯৭৬ সনে সখিপুর থানা প্রতিষ্ঠার সময়ে যাদবপুর, হাতিবান্ধা ও গজারিয়া ইউনিয়নসমূহ সখিপুর থানায় অনর্ভুক্ত হয়। ১৯৮৩ সনে ডুবাইল বাসাইল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দেলদুয়ার উপজেলায় চলে যায়। ১৯৮৩ সনে অবশিষ্ট ৬টি ইউনিয়ন সমম্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাসাইল উপজেলা।
নামকরণঃ
বাসাইল নামটি টাংগাইলসহ জেলার অন্যান্য স্থানের নামদ্বারা প্রভাবিত হয়েছে এমনটা ভাবা অযৌক্তিক নয়। ডুবাইল, করাইল, নিকরাইল, বেতরাইল, কুকরাইল, মিচাইল, বানাইল, ঘাটাইল, পাথরাইল, সাকরাইল, বাজাইল, সেহরাইল, কোকাইল, এমন অজস্র আইলাস্ত নামের স্রোতে সুদূুর অতীতে বাসাইল নামটিও হয়তো ভেসে এসেছে বংশাই নদীর এক ক্ষীণ স্রোতধারা বর্তমান মরাগাং বেয়ে। তারপরও এ নামের উৎপত্তি নিয়ে নানা মুনির নানা মত।
1) আইলের দ্বারা পরিবেষ্টিত বাসস্থানই হচ্ছে বাসাইল।
2) ভূমি গঠনের প্রাক্কালে বাঁশ পুঁতে আইল নির্ধারণের কারণেই বাসাইল।
3) জমির আইল উঁচু করে পানি সংরক্ষণের মাধ্যম শস্য উৎপাদনের প্রক্রিয়া থেকেই বাসাইল।
এসব উঁচু আইল বর্ষায়ও ভাসমান বলে প্রতীয়মান হয়। তাই ভাসা আইল থেকে বাসাইল।
4) পার্শ্ববর্তী পাহাড়ী অঞ্চলের বাঁশ আর নিম্নাঞ্চলের শালি ধান মিলে গিয়ে বাসাইল।
5) সুলতানী বা বাদশাহী আমলে জমির পত্তন গ্রহিতার নাম অনুসারে স্থানেরও নামকরণ হতো । যেমনঃ সাকের আলী নাম অনুসারে সাকরাইল, ঘটু মিয়ার নাম অনুসারে ঘাটাইল, তেমনি বাশী মন্ডলের নাম অনুসারে বাসাইল।
6) নদী প্রভাবিত এ অঞ্চলের নামের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে বংশী নদী। বংশী নদীর আইল>বংশাইল> বাসাইল। নদী আবহমান বাংলার মানুষকে সঞ্জীবনী সুধা যোগান দিয়ে করে তুলেছে মৃত্যুঞ্জয়ী। মানুষও নদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা বশে তাদের পরম সুখের আবাস ভূমির নামের সাথে সতত সঞ্চরণশীল বংশী নদীটির নামটি অদৃশ্য সূতায় গ্রথিত করে এলাকার নামকরণ করেছে বাসাইল। বাসাইল তো বংশী নদীরই আইল।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস