যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকে বাসাইল দেশের অন্য যে কোন নীচু এলাকা থেকে ভিন্নতর বৈশিষ্ট্য মন্ডিত নয়। তবে যমুনা ব্রীজ নির্মিত হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের রেলপথের কিয়দংশ বাসাইল উপজেলাকে স্পর্শ করেছে। জাতীয় মহাসড়কের ৭/৮ কিঃ মিঃ অংশ বয়ে গেছে বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া, নাহালী, গুল্যাহ মধ্যপাড়া ও বাঐখোলা মৌজার উপর দিয়ে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে শুকনো মৌসুমে রাস্তা ঘাটের ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে নীচু এলাকা হওয়ার কারণে বাসাইলে অন্যান্য উঁচু এলাকার মত রাস্তাঘাটের তেমন প্রসার ঘটেনি। এর কারণ বন্যার পানির স্তর এখানে অনেক উপরে। ফলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাস্তাঘাট সংষ্কার ও মেরামত করা হলেও তা বর্ষাকালে বেশীর ভাগই জলামগ্ন হয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমে এ উপজেলার যোগাযোগের প্রধান অবলম্বন নৌ-পথ। তাছাড়া উপজেলা সদরের সাথে সকল ইউনিয়ন এর সড়ক যোগাযোগ সারা বছর নির্বিঘ্ন থাকলেও ইউনিয়নের সাথে গ্রামের যোগাযোগ বর্ষাকালে দেশী নৌকা, ইঞ্জিন বোট ও ক্ষেত্র বিশেষ বাঁশের সাঁকোর মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়ে থাকে। নিচে বাসাইল উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হলোঃ-
সড়ক যোগাযোগঃ
উপজেলার সড়ক যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে পাকা সড়ক, এরপর কাঁচা ও গ্রাম্য সড়ক সমূহ। পাকা সড়কের কাজ সওজ বিভাগ ও এলজিইডি, কাঁচা সড়ক উন্নয়ন, মেরামত ও সংস্কার কাজ এলজিইডি ও ত্রাণ বিভাগ থেকে হয়ে থাকে। মাটির কাজ, ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণ করে এলজিইডি ও ত্রাণ বিভাগ গ্রাম্য জনপদে চলাচল/যোগাযোগ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে তৎপর। এলজিইডি বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী উপজেলার রাস্তাঘাট সমূহ চারটি ভাগে বিভক্ত। যথাঃ
(K) জেলা সংযোগ সড়কঃ উপজেলা থেকে জেলা সদরের সাথে সংযোগকারী এ সড়ক উপজেলার সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ।
(L) উপজেলা সংযোগ সড়কঃ এ জাতীয় সড়ক উপজেলা সদরের সাথে গ্রোথ সেন্টারের সংযোগ ঘটিয়ে থাকে। গুরুত্বের দিক থেকে জেলা সংযোগ সড়কের পরে এর অবস্থান।
(M) ইউনিয়ন সংযোগ সড়কঃ এ জাতীয় সড়ক উপজেলার সাথে ইউনিয়ন, ইউনিয়নের সাথে ইউনিয়ন এবং গ্রোথ সেন্টারের (জিসি) সংযোগ ঘটিয়ে থাকে।
(N) গ্রাম টু গ্রাম সংযোগ সড়ক(এ)ঃ এ জাতীয় সড়ক ইউনিয়নের সাথে গ্রাম এবং গ্রামের সাথে গুরুত্বপূর্ণ হাট- বাজারের সংযোগ ঘটিয়ে থাকে।
(O) গ্রাম টু গ্রাম সংযোগ সড়ক(বি)ঃ এ জাতীয় সড়ক গ্রামের সাথে গ্রামের, পাড়া/ মহল্লা এবং বিভিন্ন বাড়ীর সাথে সংযোগ ঘটিয়ে থাকে।
বাসাইল উপজেলার উল্লিখিত ক্যাটাগরির রাস্তা ঘাট সমূহের বিস্তারিত বিবরণ ও তথ্যাবলী নিম্নরূপঃ
জেলা সংযোগ সড়কঃ
(ক) বাসাইল-টাঙ্গাইল (ভাতকুড়া) সড়কঃ
এ সড়কটি বাসাইল থেকে টাঙ্গাইল জেলা সদরের সাথে সংযোগকারী একমাত্র পাকা সড়ক। এ সড়কটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সাথে ভাতকুড়া নামক স্থানে গিয়ে মিলিত হয়েছে। বাসাইল থেকে ১০ কিঃ মিঃ দৈর্ঘ্যের এ সড়কটির সম্পূর্ণ অংশ পাকা। সরকারের সড়ক ও জনপথ বিভাগ এ রাস্তাটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে নিয়োজিত। বাংড়া রেল ক্রসিং পার হয়ে দেউলী করটিয়া সড়কের সংযোগ স্থল পর্যন্ত ৭ কিঃ মিঃ বাসাইল উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। নির্মাণ কাজ শেষ হবার পর ২০ নভেম্বর ১৯৯৩ তারিখে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী কর্নেল অলি আহমেদ বীরবিক্রম সড়কটি শুভ উদ্বোধন করেন।
উপজেলার সংযোগ সড়কঃ
বাসাইল উপজেলায় মোট এ জাতীয় ১১টি সড়ক রয়েছে। যার মোট দৈর্ঘ্য ৬২.৬৪ কিঃ মিঃ। যার মধ্যে ৪৬.০৩ কিঃ মিঃ কাঁচা এবং ১৬.৬২ কিঃ মিঃ পাকা।
১। বাসাইল-কাঞ্চনপুর জিসি রোড। এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৩.৭০ কিঃ মিঃ। যার সবটুকুই পাকা। এই রাস্তায় মোট দু’টি পাকা অবকাঠামো রয়েছে।
২। নাটিয়া পাড়া ( জাতীয় মহাসড়ক ) থেকে কাঞ্চনপুর জিসি ভায়া কাজিরা পাড়া। এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৮.৩০ কিঃ মিঃ। যার মধ্যে ৪.১ কিঃ মিঃ পাকা, বিশিষ্ট অংশ কাঁচা। এই রাস্তায় ব্রীজ, কালভার্ট সহ মোট ১০টি অবকাঠামো রয়েছে।
৩। কাঞ্চনপুর জিসি (ঢংপাড়া) গোড়াই-সখিপুর মহাসড়ক (পাথর ঘাটা)ঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.১০ কিঃ মিঃ। যার ০.৬৩ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট সবটুকু কাঁচা। এই রাস্তায় ব্রীজ, কালভার্টসহ মোট ৭টি অবকাঠামো রয়েছে।
৪। বাসাইল-নাটিয়াপাড়া জিসি (ভায়া বিলপাড়া) রোডঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৯.২০ কিঃ মিঃ। যার মধ্যে ৬.১ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট সবটুকু কাঁচা। এই রাস্তায় ব্রীজ, কালভার্ট সহ মোট ১১ টি অবকাঠামো রয়েছে।
৫। বাসাইল সুন্না জিসি রাস্তার এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৫.৬২ কিঃ মিঃ । যার মধ্যে ২.২৪ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট সবটুকু কাঁচা। এই রাস্তায় ব্রীজ, কালভার্ট জাতীয় কোন অবকাঠামো নেই।
৬। বাসাইল - সখিপুর (জাতীয় মহাসড়ক হতে) ভায়া নলুয়া সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য (বাসাইল উপজেলার আওতাভুক্ত) ৬.০৮ কিঃ মিঃ। যার সবটুকুই পাকা। এই সড়কে ব্রীজ ও কালভার্ট সহ মোট ১০টি অবকাঠামো রয়েছে।
৭। বাসাইল - করটিয়া (ভায়া ভাটপাড়া কাশিল) রোডঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৯.৪১ কিঃ মিঃ। যার মধ্যে ০.৮০ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট সবটুকু কাঁচা। এই রাস্তায় ব্রীজ ও কালভার্টসহ মোট ৮টি অবকাঠামো রয়েছে।
৮। কাঞ্চনপুর জিসি (ঢংপাড়া)- ঈশ্বরগঞ্জ জিসি ভায়া মিরিকপুর রাস্তাঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৭ কিঃ মিঃ। যার সবটুকুই কাঁচা। এই রাস্তায় ব্রীজ ও কালভার্টসহ মোট ১৩টি অবকাঠামো রয়েছে।
৯। ঈশ্বরগঞ্জ জিসি- সুন্না জিসি রোডঃ এই রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য ৩ কিঃ মিঃ। যার সবটুকুই কাঁচা। এই রাস্তায় মোট ২টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।
১০। বাসাইল- ঈশ্বরগঞ্জ রাস্তা (ভায়া বর্ণিকিশোরী)ঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৩.৪৩ কিঃ মিঃ। যার সব টুকুই কাঁচা। এই রাস্তায় মোট ০২টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।
১১। করটিয়া (জিসি)- বাসাইল ( করটিয়া রেলক্রসিং বাংড়া) রাস্তাঃ এই সড়কটির মোট দের্ঘ্য ০.৮০ কিঃ মিঃ। যার সবটুকুই পাকা। এই রাস্তায় ১টি বী্রজ রয়েছে।
ইউনিয়ন সংযোগ সড়কঃ
বাসাইল উপজেলার এ জাতীয় মোট ১৬টি সড়ক রয়েছে। যার মোট দৈর্ঘ্য ৮৮.১৫ কিঃ মি। যার মধ্যে ৯.৬৭ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট রাস্তা কাঁচা।
১। বাসাইল- কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদ ভায়া মাইজখারা সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৭.৩০ কিঃ মিঃ। যার সবটুকুই পাকা। এই রাস্তায় মোট ৭টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।
২। কাশিল ইউ,পি, অফিস- আইসড়া বাজার ভায়া ঝনঝনিয়া সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২ কিঃ মিঃ। যার মধ্যে ০.২৮ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট সবটুকু কাঁচা। এই রাস্তায় মোট ১৭টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।
৩। কাশিল ইউনিয়ন অফিস-ফুলকী ইউ,পি, অফিস ভায়া ময়থা আইকপাড়া সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.৪২ কিঃ মিঃ। এর মধ্যে ০.৩০ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট সবটুকু কাঁচা। এই রাস্তায় মোট ১৬টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।
৪। কাশিল ইউ,পি অফিস-জশিহাটী বাজার সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৪ কিঃ মিঃ। যার মধ্যে ০.০৫ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট সবটুকু কাঁচা। এই রাস্তায় মোট ০২টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।
৫। কাশিল ইউ,পি অফিস - বিলপাড়া হাট ভায়া কাশিল সড়কঃ এই সড়কটির মেট দৈর্ঘ্য ৫.৫০ কিঃ মিঃ। যার মধ্যে ২.৩০ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট সবটুকু কাঁচা। এই সড়কে মোট ৪টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।
৬। হাবলা ইউ,পি অফিস- কাশিল ইউ,পি অফিস ভায়া নথখোলা সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৫.৬০ কিঃ মিঃ। যার সবটুকু কাঁচা।
৭। হাবলা ইউ,পি অফিস- করটিয়া জি সি রোড ভায়া মটরা রোডঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.৮৩ কিঃ মিঃ। যার মধ্যে ২.০৬ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট সবটুকু কাঁচা। এই সড়কে মোট ৮টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।
৮। বাসাইল- কাঞ্চনপুর ইউ,পি অফিস রোডঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৩.৯২ কিঃ মিঃ। যার সবটুকুই কাঁচা। এই রাস্তায় মোট ৪টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে। যার মোট দৈর্ঘ্য ২৮.৮০ মিটার।
৯। কাশিল ইউ,পি অফিস হতে নয়ারহাট ভায়া বল্লা রোডঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.৬৬ কিঃ মিঃ। যার মধ্যে ১.১০ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট সবটুকু কাঁচা। এই সড়কে মোট ৪টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।
১০। বাসাইল হেড কোয়ার্টার- বাসাইল ইউ,পি অফিস রোডঃ এই রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য ১.২৬ কিঃ মিঃ। যার মধ্যে ০.৫৪ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট সবটুকু কাঁচা। এই সড়কে মোট ১টি ব্রীজ রয়েছে।
১১। কাঞ্চনপুর ইউ,পি অফিস হতে- পাথরঘাটা হাট ভায়া তারাবাড়ী রোডঃ এই রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য ৮.১০ কিঃ মিঃ। যার মধ্যে সবটুকু কাঁচা। এই রাস্তায় মোট ২টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।
১২। নয়ার হাট- কাউলজানী ইউ,পি অফিস ভায়া বার্থা সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.২০ কিঃ মিঃ। যার সবটুকু কাঁচা। এই সড়কে মোট ১১টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।
১৩। ফুলকী ইউ,পি অফিস (ময়থা)- জশিহাটী বাজার সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২.২৫ কিঃ মিঃ। যার সবটুকুই কাঁচা। এই সড়কে মোট ০১টি কালভার্ট রয়েছে।
১৪। ফুলকী (ঝনঝনিয়া) - কাউলজানী ইউ. পি অফিস ভায়া বাদিয়াজান সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২.৬০ কি.মি। যার সম্পূর্ণই কাঁচা। এই সড়কটিতে ০২ টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।
১৫। কাউলজানী ইউ.পি অফিস- কাউলজানী পুরাতন বাজার সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৩ কি.মি। যার সম্পূর্ণই কাঁচা। এই সড়কটিতে ০২টি কালভার্ট রয়েছে।
১৬। বাসাইল (আন্দারিয়া পাড়া)- হাবলা ইউ.পি অফিস ভায়া বালিনা ভৈরপাড়া সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.৪৭ কি.মি। যার মধ্যে ০.০৫ কি.মি পাকা। অবশিষ্ট সবটুকু কাঁচা। এই সড়কটিতে ০৯ টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।
গ্রাম টু গ্রাম সংযোগ সড়ক (এ)ঃ
বাসাইল উপজেলায় এ জাতীয় মোট ৩৪টি সড়ক রয়েছে। যার মোট দৈর্ঘ্য ৯২.৬৬ কিঃ মিঃ। তার মধ্যে ৫.৯৬ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট কাঁচা রাস্তা।
১। সিঙ্গারডাক - সৈদামপুর- হালুয়া পাড়া সড়কঃ এই সড়কে কোন ব্রীজ বা কালভার্ট নাই।
২। বাসাইল- আন্দিরাপাড়া সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ০.৫০ কিঃমিঃ, যার সম্পূর্ণ পাকা। এই সড়কে ব্রীজ ও কালভার্ট নাই।
৩। বাসাইল- ভাটপাড়া রাস্তাঃ এই সড়কটির দৈর্ঘ্য ১.৫০ কিঃমিঃ। এই রাস্তায় ১টি ব্রীজ রয়েছে।
৪। মাইজখাড়া- বালিয়া হাট রাস্তাঃ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৪.৪০ কিঃমিঃ, যার সম্পূর্ণ অংশ কাঁচা। এই সড়কটিতে ১টি ব্রীজ রয়েছে।
৫। মাইজখাড়া- বর্ণিকিশোরী ভায়া কলিয়া রাস্তাঃ সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৪ কিঃমিঃ, সম্পূর্ণ রাস্তাই কাঁচা। কোন ব্রীজ ও কালভার্ট নাই।
৬। বাসাইল- মিরিকপুর রোডঃ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৪.৮০ কিঃ মিঃ, সম্পূর্ণই কাঁচা। এই রাস্তায় কোন ব্রীজ ও কালভার্ট নাই।
৭। গ্রামীণ ব্যাংক- হান্দুলীপাড়া সড়কঃ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ১.৫৫ কিঃমিঃ। যার ০.২০ কিঃমিঃ পাকা। অবশিষ্ট অংশ কাঁচা। এই
সড়কে কোন ব্রীজ ও কালভার্ট নাই।
৮। বাসাইল নলুয়া রাস্তা-বাসাইল গোডাউন সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈঘ্য ০.৫০ কিঃমিঃ। এই সড়কের সম্পূর্ণ অংশ কাঁচা। এই
সড়কে কোন ব্রীজ বা কালভার্ট নাই।
৯। বাসাইল পূর্বপাড়া- বাসাইল উচ্চ বিদ্যালয় রাস্তাঃ এই সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ০.৫৫ কিঃমিঃ। এর সম্পূর্ণ কাঁচা। এই সড়কে
একটি কালভার্ট রয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ৩ মিঃ।
১০। কলিয়া-কাউলজানী রাস্তাঃ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৫.৫৩ কিঃমিঃ, যার ৪.০৬ কিঃমিঃ পাকা। অবশিষ্ট কাঁচা রাস্তা। এই সড়কে
মোট ৫টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে। যার দৈঘ্য ৭২.১০ মিটার।
১১। পিচুরী-বাথুলী রাস্তাঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২.৫০ কিঃমিঃ। এই সড়কটি সম্পূর্ণ কাঁচা। এই সড়কে ২টি ব্রীজ ও কালভার্ট
রয়েছে। যার মোট দৈর্ঘ্য ২১ মিটার।
১২। বিল চিকনাই- গান্দিনা ভায়া মান্দারজানী সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২.২০ কিঃমিঃ। এই সড়কটি সম্পূর্ণ কাঁচা।
১৩। নাহালী- জীবনেশ্বর সড়কঃ এই সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৪.৮৭ কিঃমিঃ। এই সড়কটি সম্পূর্ণ কাঁচা। এই সড়কটিতে মোট ০১টি কালভার্ট রয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ১২ মিটার।
১৪। করাতী পাড়া- আরুহা সড়কঃ এই সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১.৩৪ কিঃমিঃ। যা সম্পূর্ণ কাঁচা। কোন ব্রীজ বা কালভার্ট নাই।
১৫। করাতী পাড়া- বয়রা সড়কঃ এই সড়কটি সম্পূর্ণ র্কাচা। এই সড়কটিতে ০১টি কালভার্ট রয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ১২ মিটার।
১৬। বাঐখোলা- জীবনেশ্বর সড়কঃ এই সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ২.৭১ কিঃমিঃ। সড়কটি সম্পূর্ণ কাঁচা। এই সড়কটিতে কোন ব্রীজ বা কালভার্ট নাই।
১৭। তারটিয়া- আইসড়া -ফুলকী সড়কঃ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২.৫০ কিঃমিঃ। সম্পূর্ণ কাঁচা। কোন ব্রীজ বা কালভার্ট নাই।
১৮। ফুলকী- খাটরা সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৩.৫০ কিঃমিঃ। সড়কটি সম্পূর্ণ কাঁচা। এই সড়কটিতে ০১টি ব্রীজ রয়েছে।
১৯। সোনালীয়া- চেয়ারম্যানবাড়ী সড়কঃ সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১.৩৫ কিঃমিঃ। সম্পূর্ণ কাঁচা। সড়কটিতে ১টি মাত্র কালভার্ট রয়েছে।
২০। পৌলী- বাংড়া সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ০.৮১ কিঃমিঃ। সম্পূর্ণ কাঁচা। এই সড়কটিতে মোট ১টি কালভার্ট রয়েছে।
২১। বালিয়া-কাশিল সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ০.৭৮ কিঃমিঃ। সড়কটি সম্পূর্ণ কাঁচা। ১টি মাত্র কালভার্ট রয়েছে।
২২। নথখোলা- দাপনাজোড় সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২.৪৯ কিঃমিঃ। সড়কটি সম্পূর্ণ কাঁচা। কোন ব্রীজ বা কালভার্ট নাই।
২৩। সোনালিয়া- ছয়শত সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২.৫০ কিঃমিঃ। সড়কটি সম্পূর্ণ কাঁচা। কোন ব্রীজ বা কালভার্ট নাই।
২৪। করটিয়া- সোনালীয়া ভায়া ছয়শত সড়কঃ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২.৭০ কিঃমিঃ। সম্পূর্ণ কাঁচা। ৩টি ব্রীজ বা কালভার্ট রয়েছে।
২৫। নাকাছিম-ফুলবাড়ী সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.৮৭ কিঃমিঃ। সড়কটি সম্পূর্ণ কাঁচা। কোন ব্রীজ বা কালভার্ট নাই।
২৬। বাসাইল-বালিয়া সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৩.০৯ কিঃমিঃ। সড়কটিতে ১টি ব্রীজ রয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ১২ মিটার।
সড়কটির ০.৩০ কিঃমিঃ পাকা। অবশিষ্ট অংশ কাঁচা।
২৭। বাঐখোলা- বর্ণি সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ০.৬০ কিঃমিঃ। সম্পূর্ণ অংশই পাকা। এই সড়কটিতে ১টি ব্রীজ রয়েছে।
২৮। হাবলা ইউ,পি অফিস- পাটখাগুরী সড়কঃ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ০.৬০ কিঃমিঃ। সম্পূর্ণ কাঁচা। ১টি কালভার্ট রয়েছে।
২৯। নাকাছিম-নথখোলা ব্রীজ পর্যন্ত সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২.৯৫ কিঃমিঃ। সম্পূর্ণ কাঁচা। কোন ব্রীজ বা কালভার্ট নাই।
৩০। হাবলা আলালের বাড়ী - বালিনা খেয়াঘাট সড়কঃ মোট দৈর্ঘ্য ২.১০ কিঃমিঃ। সম্পূর্ণ কাঁচা। ১টি ব্রীজ রয়েছে।
৩১। হাবলা-জীবনেশ্বর সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২ কিঃমিঃ। সম্পূর্ণ কাঁচা। সড়কটিতে কোন ব্রীজ বা কালভার্ট নাই।
৩২। জশিহাটী-আইসড়া বাজার সড়কঃ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২.৬৪ কিঃমিঃ। সম্পূর্ণ কাঁচা। সড়কটিতে মোট ৪টি কালভার্ট রয়েছে।
৩৩। করটিয়া- জশিহাটী ভায়া দেউলী সড়কঃ মোট দৈর্ঘ্য ৩.২২ কিঃমিঃ। সম্পূর্ণ কাঁচা। সড়কটিতে ২টি ব্রীজ ও কালভার্ট রয়েছে।
৩৪। সুন্না জিসি-ডুমনীবাড়ী বাজার ভায়া গিলাবাড়ী সড়কঃ এই সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৫.১০ কিঃমিঃ । এই সড়কটির ০.৭০ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট অংশ কাঁচা। এই সড়কটিতে মোট ৫টি কালভার্ট রয়েছে।
গ্রাম টু গ্রাম সংযোগ সড়ক (বি )ঃ
বাসাইল উপজেলায় এ জাতীয় মোট ৬৭ টি সড়ক রয়েছে। যার মোট দৈর্ঘ্য ১১৭.৯৭ কিঃ মিঃ। তার মধ্যে ০.১৯ কিঃ মিঃ পাকা। অবশিষ্ট রাস্তা কাঁচা। এ জাতীয় রাস্তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে তুলে ধরা হল।
১। পৌলী- মটেশ্বর সড়ক।
২। বালিয়া- মোকছেদের বাড়ী পর্যন্ত সড়ক।
৩। আক্কাছ মিয়ার বাড়ী- বালিয়া পর্যন্ত সড়ক।
৪। প্রাইমারী স্কুল- ঋষি বাড়ী পর্যন্ত সড়ক।
৫। বাসাইল- টাঙ্গাইল সড়ক- বাসাইল পোস্ট অফিস পর্যন্ত সড়ক।
৬। বাসাইল- বজলুর বাড়ী পর্যন্ত সড়ক।
৭। মাইজখাড়া- বল্লা পর্যন্ত সড়ক।
৮। মাইজখাড়া- বাঘিল পর্যন্ত সড়ক।
৯। মাইজখাড়া- উয়াশি উদ্দিনের বাড়ী পর্যন্ত সড়ক।
১০। বর্ণিকিশোর-বন্দেকুমারজানী পর্যন্ত সড়ক।
১১। বর্নিকিশোরী- আব্দুলের বাড়ী পর্যন্ত সড়ক।
১২। বর্নি কিশোরী- বিলপাড়া পর্যন্ত সড়ক।
১৩। বাসাইল- বাসাইল পূর্বপাড়া চারু রায়ের বাড়ী পর্যন্ত সড়ক।
১৪। সিংগার ডাক গ্রামের সড়ক।
১৫। কাঞ্চনপুর গ্রামের সড়ক-১।
১৬। কাঞ্চনপুর গ্রামের সড়ক-২।
১৭। হান্দুলীপাড়া সড়ক।
১৮। মিরিকপুর- রাসড়া সড়ক।
১৯। বাসাইল- রাসড়া ও চাকদহ সড়ক।
২০। রাসড়া- কাঞ্চনপুর সড়ক।
২১। মটেশ্বর- সৈদামপুর ভায়া যৌতুকী সড়ক।
২২। হাবলা প্রাইমারী স্কুল- সামছু মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত সড়ক।
২৩। খোরশেদ মিয়ার বাড়ী- সাত্তার মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত সড়ক।
২৪। হাবলা- ঘোষাখালী পর্যন্ত সড়ক।
২৫। মজিবুর মিয়ার বাড়ী- মহেড়া ইউ,পি সীমান্ত পর্যন্ত সড়ক।
২৬। হাবলা- হাবলা মহিলা মাদ্রাসা পর্যন্ত সড়ক।
২৭। কর্মকারপাড়া- কাঞ্চনপুর পর্যন্ত সড়ক।
২৮। কাঞ্চনপুর পূর্বপাড়া- বিলপাড়া পর্যন্ত সড়ক।
২৯। সিংগারডাক গ্রামের সড়ক।
৩০। যৌতুকী- মটেশ্বর সড়ক।
৩১। কাঞ্চনপুর গ্রামের সড়ক-৩।
৩২। আদাজান গ্রামের সড়ক।
৩৩। জামতলা- কোকাইল সড়ক।
৩৪। কাশিল- করটিয়া সড়ক।
৩৫। একঢালা- বালিয়া সড়ক।
৩৬। করটিয়া পাড়া- নিরাইল সড়ক-১।
৩৭। বাদিয়াজান- তীরঞ্চ সড়ক।
৩৮। ফুলবাড়ী- ফুলকী সড়ক।
৩৯। ফুলবাড়ী- খাটরা সড়ক।
৪০। করটিয়া পাড়া- নিরাইল সড়ক-২।
৪১। ফুলকী বাজার- তীরঞ্চ সড়ক।
৪২। দেউলী- দোহার সড়ক।
৪৩। জশিহাটী গ্রামের সড়ক।
৪৪। আইসড়া- একঢালা সড়ক।
৪৫। কাউলজানী বাজার সড়ক।
৪৬। বার্থা- গিলাবাড়ী সড়ক।
৪৭। হান্দুলীপাড়া- ঈশ্বরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত সড়ক।
৪৮। হান্দুলীপাড়া- মিরিকপুর সড়ক।
৪৯। ভৈরপাড়া- কাশিল দক্ষিণ পাড়া পর্যন্ত সড়ক।
৫০। কুমারজানী- বর্ণি সড়ক।
৫১। ঢাকা-টাঙ্গাইল জাতীয় মহা সড়ক- মটরা বাজার ভায়া ফরিদ মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত সড়ক।
৫২। কাশিল দক্ষিণ পাড়া- জীবনেশ্বর সড়ক।
৫৩। নাকাছিম- বল্লা সড়ক।
৫৪। সুন্না আবু মিয়ার বাড়ী- আফছার মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত সড়ক।
৫৫। তিরঞ্চ সোহেল চেয়ারম্যানের বাড়ী- কালু মন্ডলের বাড়ী পর্যন্ত সড়ক।
৫৬। ফুলকী টি, জে, এফ, উচ্চ বিদ্যালয়- ফুলকী মধ্যপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়ক।
৫৭। কাঞ্চনপুর দক্ষিণ পাড়া- পারদিঘী পর্যন্ত সড়ক।
৫৮। ময়থা গাছপাড়া মসজিদ- কমলাপাড়া পর্যন্ত সড়ক।
৫৯। ফুলকী টি, জে, এফ, উচ্চ বিদ্যালয়- ফুলকী কাশেম এম,পি,’র বাড়ী পর্যন্ত সড়ক।
৬০। সোনালিয়া উমেদ আলীর বাড়ী- আফাজ মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত সড়ক।
৬১। করাতিপাড়া দুলাল মেম্বারের বাড়ী- করটিয়া কলেজ পর্যন্ত সড়ক।
৬২। বাসাইল গার্ল্স স্কুল- এস, আর, পাড়া সড়ক (বিজয় সরণী)।
৬৩। বাথুলী- কামুটিয়া সড়ক।
৬৪। নাহালী মটরা ব্রীজ- নাহালী হাইস্কুল পর্যন্ত সড়ক।
৬৫। মটরা বাজার- মটরা দক্ষিণ পাড়া সড়ক।
৬৬। সৈদামপুর প্রাইমারী স্কুল- পাথরঘাটা পর্যন্ত সড়ক।
৬৭। পাথরঘাটা - তারাবাড়ী সড়ক।
(খ) নৌ পথঃ
বর্ষা মৌসুমে উপজেলার পরিবহণের ক্ষেত্রে নৌপথ মূল ভূমিকা পালন করে। উপজেলা সদরের পথে ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ অব্যাহত থাকলেও সংক্ষিপ্ত সময়ে সহজে যোগাযোগের জন্য নৌপথ অধিকতর কার্যকরী। বিশেষ করে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাথে কার্যকর সড়ক যোগাযোগ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ এলাকাটি বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। কারণ কাঞ্চনপুর ইউ,পি, টু বাসাইল সদর সড়কটি অদ্যাবধি পাকা না হওয়ায় এলাকার জনগণকে বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি সহ্য করতে হয় । তদুপরি নৌপথ এখানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করলেও তা সারা বৎসর নাব্য থাকেনা। এসব নৌপথ কেবল বর্ষায় কার্যকর থাকে। শুকনো মৌসুমে এসব নদী-খাল শুকিয়ে কোথাও কোথাও বালু মহাল আবার কোথাও কোথাও ক্ষুদ্র জলাশয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বর্তমানে বাসাইলে যে সব নদ-নদী ও খাল রয়েছে তার বিবরণ নিম্নরূপঃ
১। ঝিনাই নদীঃ
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা থেকে ফুলকী ইউনিয়নের একঢালা গ্রাম দিয়ে বাসাইল সীমান্তে সংযুক্ত হয়। সীমান্ত থেকে দোহার গ্রাম পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে কাশিল ইউনিয়নের দাপনাজোড় গ্রাম দিয়ে কাশিল, বন্দেভাট পাড়া, বাসাইল ইউনিয়নের বালিনা, হাবলা ইউনিয়নের ভৈরপাড়া, হাবলা টেঙ্গুরিয়াপাড়া এবং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের আদাজান কাঞ্চনপুর হয়ে মির্জাপুর উপজেলায় প্রবেশ করে। ঝিনাই নদীর একটি খাল কাশিল থেকে হাবলা, আরোহা, ভৈরপাড়া হয়ে পুনরায় ঝিনাই নদীতে পতিত হয়। এই খালের একটি শাখা কাশিল থেকে আরোহা নদীতে পতিত হয়ে পাটখাগুরী গ্রামের নিচু এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। হাবলা টেঙ্গুরিয়াপাড়া হতে আর একটি খাল মির্জাপুর সীমান্ত ঘুরে এক সময় মির্জাপুরেই প্রবেশ করে, আদাজানের পূর্বদিকে ঝিনাই নদী হতে একটি খাল কাঞ্চনপুর- ব্রাহ্মণপাড়িল হয়ে বাসাইলের নিচু এলাকায় এসে পতিত হয়েছে।
২। লৌহজং নদীঃ
দেলদুয়ার উপজেলা থেকে হাবলা ইউনিয়নের মটরা দিয়ে বাসাইল উপজেলায় প্রবেশ করে এবং কিছুদূুর অগ্রসর হয়ে নাহালী গ্রামের উপর দিয়ে টাঙ্গাইল সদরে প্রবেশ করে। টাঙ্গাইল সদরে প্রবেশের আগে নাহালী গ্রামে এ নদীর একটি শাখা করাতিপাড়া দিয়ে কিছুদূুর অগ্রসর হয়ে বয়ড়া গ্রামের মাঝামাঝি গিয়ে শেষ হয়। এক সময়ের প্রবল স্রোতের এ নদী এখন মৃতপ্রায়।
৩। লাঙ্গুলিয়া নদীঃ
লাঙ্গুলিয়া বংশাই নদী হতে উৎপত্তি হয়ে খাটরা দিয়ে বাসাইল উপজেলায় প্রবেশ করে। অতঃপর বাদিয়াজান, সেহরাইল, ফুলবাড়ী, বালিয়া, বাঘিল, মাইজখাড়া ও সায়ের হয়ে বন্দেভাটপাড়ায় ঝিনাই নদীর সাথে মিলিত হয়। সেহরাইলের নীচু এলাকা থেকে একটি খাল বের হয়ে বাসাইল-সুন্না সড়কের পাশ দিয়ে সুন্না বাজার হয়ে বংশী নদীতে পতিত হয়। এই খালটি মইষাখালী ব্রীজের কাছে মইষাখালী খাল, সুন্না সড়কে বেংড়াখালী খাল নামে পরিচিত। খাটরার একটু উত্তর পাশে লাঙ্গুলিয়া নদী হতে একটি খাল উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে কাউলজানীর নিচু এলাকায় শেষ হয়। লাঙ্গুলিয়া নদী হতে একটি শাখা খাটরা বাদিয়াজান হয়ে কালিহাতী থানায় প্রবেশ করেছে। অপরদিকে করটিয়াপাড়া বিল থেকে পানি নিস্কাশনের জন্য একটি খাল বহু পূর্বে কেটে স্থল বল্লা, সায়ের হয়ে পশ্চিমে বী্রজের তলা দিয়ে লাঙ্গুলিয়া নদী প্রবাহের সাথে সংযুক্ত করা হয়। স্থানীয়ভাবে এটি খসরুখালী খাল নামে পরিচিত। ব্রীজের পার্শ্বে একটি স্লুইস গেটের মাধ্যমে এর পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সেহরাইল থেকে একটি শাখা সরাসরি বাসাইল ইউনিয়নের মাইজখাড়া গ্রাম দিয়ে প্রবেশ করে ঐ শাখাটি বাসাইল বাজার ফুড গোডাউনের (রায় বাড়ীর) সম্মুখ দিয়ে চাপড়া বিলে পতিত হয়। চাপড়া বিল হয়ে এই নদীটি রাসড়া সৈদামপুর হয়ে পুনরায় বংশাই নদীতে পতিত হয়। রাসড়া-সৈদামপুরের নদীর এ অংশটি কুচিয়া মারার খাল নামে পরিচেত। বাসাইল মাইজখাড়া হয়ে কাউলজানী নয়া বাজার সড়ক তৈরী হওয়ায় নদীর গতি বাধা পড়ে ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে শুকনা মৌসুমে মরা নদীতে পরিণত হয়। তাই স্থানীয় ভাবে বাসাইল ইউনিয়নে এ নদীটি মরা গাঙ হিসাবে পরিচিত।
৪। বংশাই নদীঃ
বংশাই নদী বাসাইল উপজেলাকে সখিপুর উপজেলা থেকে পৃথক করেছে। কালিহাতী উপজেলা হতে সখিপুর হয়ে বাসাইল উপজেলার কাউলজানী ডুমনীবাড়ী, কাঞ্চনপুর, গিলাবাড়ী, সুন্না, মিরিকপুর, রাসরা, সৈদামপুর, পূর্বপৌলী, সিঙ্গারডাক সীমান্ত বেয়ে মির্জাপুর থানায় প্রবেশ করে। সীমান্ত বেয়ে আসার সময় কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সৈদামপুর, পূর্বপৌলী ও সিঙ্গারডাক অংশে এ নদী কখনো কখনো সামান্য একটু ভিতরে প্রবেশ করেছে।
রেলপথঃ
যমুনা ব্রীজ নির্মাণের ফলে কেন্দ্রের সাথে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। রেলপথ সংযোজন এ অধ্যায়ে যুক্ত করেছে এক নতুন মাত্রা। এ রেলপথ বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের দাপনাজোড় দিয়ে প্রবেশ করে জোরবাড়ী পার হয়ে হাবলা ইউনিয়নের সোনালিয়া, ছয়শত, কোকাইল, পাটখাগুরী হয়ে মির্জাপুর উপজেলায় প্রবেশ করে। বাসাইল উপজেলায় এ পথ নির্মাণের জন্য ১৯৯৫-৯৬ সনে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ২০০১ সনের ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে অধিগ্রহণের গেজেট প্রকাশিত হয়। অধিগ্রহণ অনুযায়ী- জোড়বাড়ী মৌজায় ২.৬৪, দাপনাজোড়- ৫.১৬, সোনালিয়া- ১.৯২ ও পাটখাগুরী মৌজায় ১৯.৪৭ একরসহ সর্বমোট ৯৮.৫৩ একর ভূমি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক আধিগ্রহণ করা হয়েছে। বাসাইল উপজেলায় রেলপথ নির্মিত হলেও এই উপজেলায় কোন রেলস্টেশন না থাকায় এ পথের সুফল বাসাইলবাসীকে টাঙ্গাইল হয়ে ভোগ করতে হয়। তবে বাংড়া এলাকায় রেলপথের চাহিদার প্রেক্ষিতে একটি রেল স্টেশন স্থাপনের বিষয়টি রেল বিভাগের বিবেচনায় রয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস