বাসাইল, টাঙ্গাইল।
বাসাইল হতে দুরুত্ব ৩ কি:মি:। বাসাইল থেকে অটোরিক্সায় যাওয়া যায়।
0
বাসাইল উপজেলার মধ্যে অন্যতম সুন্দর একটি স্থান বাসুলিয়া। দিগন্ত বিস্তৃত ধান ক্ষেত, চির সবুজের সমারোহ, বর্ষার জলরাশি, বাসাইলের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান। সম্প্রতি এর সাথে যুক্ত হয়েছে বাসুলিয়া। বাসাইল-নলুয়া সড়ক নির্মিত হওয়ার ফলে পার্শ্ববর্তী এলাকার জনসাধারণ বাসুলিয়ার সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছে। চাপড়া বিলের বুক চিরে বয়ে গেছে বাসাইল-নলুয়া সড়ক। বাসাইল বাজার থেকে নলুয়া সড়ক ধরে মাত্র দুই কিলোমিটার পার হলেই চাপড়া বিল। পানির অবাধ চলাচল নিশ্চিৎ করতে এলজিইডি বিভাগ কর্তৃক আরডি-১৪ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয় অসংখ্য সেতু সমৃদ্ধ এই সড়ক। স্বাভাবিকভাবেই চাপড়া বিলের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার কারণে এই সড়কের উভয় পার্শ্বেই ঘরবাড়ি ও স্থাপনামুক্ত। ফলে চাপড়া বিলের এই অংশ নির্মল হাওয়ার জন্য একটি উৎকৃষ্ট স্থান। বর্ষায় যখন প্লাবিত হয় চাপড়া বিলের উভয় দিক, তখন অপূর্ব রূপ ধারণ করে বাসুলিয়া। বাসাইল-সখিপুর এবং আশ পাশের লোকেরা তখন বেড়াতে আসে এই চাপড়া বিলে। সৌন্দর্য পিপাসুরা ভরা বর্ষায় চাপড়া বিলের সাথে সাদৃশ্য খুঁজে পান ঢাকার আশুলিয়ার। একারণেই ঢাকার আশুলিয়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে চাপড়া বিলের এই অংশকে অনেকেই বাসুলিয়া বলে থকেন। বর্ষাকলে উৎসাহী ও উদ্যোগী ব্যক্তিগণ সুদৃশ্য দেশী নৌকা এবং ইঞ্জিন বোট নিয়ে হাজির হন বাসুলিয়ায়। মূল সড়ক থেকে সামান্য দূরে দেখা যায় পৌরাণিক কাহিনী সমৃদ্ধ চাপড়া বিলের হিজল গাছ। দর্শনার্থীরা শেষ বিকালে হাজির হন এখানে। নির্মল বায়ু সেবনে, নৌকা ভ্রমণে আর হিজল গাছ দর্শনে চাংগা হয়ে ফিরে যান নিজ নিজ আবাসে। ভরা বর্ষায় পূর্ণিমা রাতের জল-জোছনায় উদ্ভাসিত চাপড়া বিলের মায়াময়ী, মোহময়ী হাতছানি উপেক্ষা করা কঠিন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS